সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
কলারোয়ার সোনাবাড়িয়ায় সড়কের বেহাল দশা: বর্ষা হলেই হাঁটু কাদা
ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া প্রতিনিধি: রাস্তা তো নয় যেন ময়দার খামির। পা দিলেই হাঁটুর নীচ পর্যন্ত ডেবে যায় ! এক পা ঢুকিয়ে তো অন্য পা তুলে আবার ফেলতে লাগে কয়েক মিনিট। এভাবেই চলছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৫নং দক্ষিণ সোনাবাড়ীয়া ওয়ার্ডের শতশত মানুষের জীবন। উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও অবকাঠামোর উন্নয়ন হলেও এখানে কাদায়-ভরে রয়ে গেছে রাস্তাটি। আর এসব কাঁচা রাস্তাগুলোর জন্য বর্তমান সময়ে এসেও এলাকাবাসীর পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ সোনাবাড়ীয়া (লাউডুবি) মৃত মহফেল মহুরির বাড়ি থেকে পূর্ব ভাদিয়ালী আইনের মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এবং সাবানার মোড় থেকে রাজপুর চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা বর্ষায় ব্যবহারে পুরোপুরি অনুপোযী হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, মাঝে এক বৃদ্ধা স্টক করেন। তাকে দ্রæত হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো অ্যাম্বুলেন্স এখানে ঢুকতে পারিনি। পরে উনাকে কাঁধে করে কাদা রাস্তা পার করা হয়। শুধু এখানেই শেষ নয়, এমন বহু ঘটনার স্বাক্ষী এখানকার মানুষ।
ইকরামুল ইসলাম নামে এক কলেজ পড়–য়া ছাত্র বলেন, ছোট বেলা থেকে দেখছি আমাদের রাস্তার এই দশা। আমরা বর্ষা মৌসুমে ঠিক মতো কলেজে যেতে পারি না। একরকম ঘরবন্ধি জীবনযাপন করতে হয় আমাদের। ৬নং সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন হেলাল বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। সাবানার মোড় থেকে রাজপুর অভিমুখী রাস্তাটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বর্ষা মৌসুমে এখানকার মানুষ এক প্রকার ঘরবন্দি হয়ে যায়। কোনো অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে চায় না এখানে। অসুস্থ হয়ে অনেকে সময়মতো অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পূর্বে এই রাস্তা নিয়ে কেউ কোনো কাজ করেনি। আমি ইতোমধ্যে রাস্তাটি কার্পেটিংয়ের জন্য আমাদের এমপি মহোদয়ের নিকট আবেদন করেছি। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি শীঘ্রই মানুষের দুর্ভোগের অবসান হবে। 8,577,020 total views, 4,790 views today |
|
|
|